রসুনে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ভিটামন-এ, বি এবং সি। এই প্রত্যেকটি উপাদানই নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। তাই তো কাঁচা অবস্থায় হোক, কী জলে ফেলে, যে কোনও ভাবেই প্রতিদিন যদি রসুন খাওয়া যায়, তাহলে মেলে নানা উপাকার। যেমন ধরুন…
১. ফাঙ্গাল ইনফেকশন রোধ করে
শরীরের কোথাও সংক্রমণ হলেই পরিমাণ মতো রসুনের কোয়া নিয়ে সেখানে ভাল করে ঘষে দিন।
দেখবেন নিমেষে ইনফেকশন কমে যাবে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপার্টিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. ঠাণ্ডা লাগার প্রকোপ থেকে বাঁচায়
ওয়েদার চেঞ্জ হলেই ঠাণ্ডা লাগে? সেই সঙ্গে জ্বর তো আছেই! এমন অবস্থার শিকার যদি আপনিও হয়ে থাকেন, তাহলে রসুনকে বেস্ট ফ্রেন্ড বানাতে ভুলবেন না যেন! কেন এমন কথা বলছি, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে রসুনে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে এমন ধরনের সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
রসুনে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ক্যান্সার এজেন্ট। তাই তো নিয়মিত এটি খেলে স্টমাক এবং কোলোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহু গুণে কমে যায়।
৫. রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না
শরীরের প্রতিটি অংশে রক্ত সরবরাহ যাতে সুন্দরভাবে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে রসুন। সেই সঙ্গে ব্লাড কল্ট হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। ফলে হার্টঅ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে
৬. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি আর্টারিতে ময়লা জমে যাতে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে রসুন। তাই তো যারা হার্টের সমস্যায় বা অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন এক কোয়া করে রসুন খেলে দারুন উপকার পাবেন।
৭. রক্তকে পরিশুদ্ধ করে
প্রতিদিন সকালে গরম জলের সঙ্গে যদি দু কোয়া রসুন খেতে পারেন, তাহলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে রক্ত এত মাত্রায় পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে যে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে ব্রণর মতো স্কিন প্রবলেম হাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
কাদের রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিতে হবে?
অ্যাজমায় বা শ্বাসকষ্টের রোগে ভুগছেন এমন রোগীরা ভুলেও রসুন খাবেন না যেন! কারণ রসুনে এমন কিছু উপাদান থাকে যা অ্যাজমার মতো রোগকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল ছোট-বড় কোন ধরনের আপারেশনের আগে রসুন খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। আর ভুলেও দিনে ২-৩টি কোয়ার বেশি রসুন খাওয়া চলবে না কিন্তু!