নিয়ম মেনে চলতে গিয়েও সব সময় সব নিয়ম মেনে ওঠা সম্ভব হয় না। এই অনিয়মের ভাগটা বেশি পড়ে আমাদের খাবার-দাবারের ক্ষেত্রেই। ব্যস্ততার কারণে খাবারের দিকে পুরোপুরি খেয়াল রাখা হয়ে ওঠে না আমাদের। একেক দিন একেক সময়ে খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, শারীরিক শ্রমের অভাব ইত্যাদি কারণে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কিছু ভুলের কারণে এই বদহজম হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বদহজমের জন্য দায়ী ৩টি অভ্যাস সম্পর্কে-
ক্ষুধা না পেলেও খাওয়া
আমাদের অনেকের মধ্যেই এই সমস্যা রয়েছে, ক্ষুধা না পেলেও কেবল চোখের ক্ষুধায় খাওয়া। অর্থাৎ পেটে ক্ষুধা নেই কিন্তু চোখে দেখে খেতে ইচ্ছা করছে বলেই খেয়ে নেওয়া। শরীরের যখন যতটুকু খাবার প্রয়োজন তা সে ক্ষুধার অনুভূতির মাধ্যমেই জানিয়ে দেবে। কিন্তু এর বাইরে আপনি খাবার গ্রহণ করলে সেজন্য শরীর প্রস্তুত থাকে না। তাই হজমপ্রক্রিয়াও সঠিক হয় না। ফলস্বরূপ দেখা দেয় বদহজম।
খাবারের আগে জল পান করা
আমরা খাবার খাওয়ার পরে সেগুলো হজম করার জন্য প্রয়োজন হয় গ্যাস্ট্রিক জুস। আপনি যদি খাওয়ার আগে জল পান করেন তবে সেই গ্যাস্ট্রিক জুস পাতলা হয়ে যায় এবং বেড়ে যায় রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা। এর ফলে সমস্যা সৃষ্টি হয় হজমের ক্ষেত্রে। শুধু খাবার খাওয়ার আগেই নয়, খাওয়ার সময়েও খুব বেশি জল খাওয়া ঠিক নয়। প্রয়োজনে এক-আধ ঢোক খেতে পারেন, তবে এর বেশি নয়। আপনি যদি খাবার গ্রহণের সময় বেশি জল পান করেন তাহলে পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত হয় এবং খাবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে বৃহদন্ত্রে পৌঁছে যায়। এটিও বদহজমের অন্যতম কারণ। তাই খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে বা পরে জল পান করুন।
খাওয়ার সময় অন্য কাজ
প্রতিদিনের সময়টুকুতে নিজের জন্য আর কতটাই বা থাকে! তাইতো খাবার খাওয়ার সময়েও আমরা অন্যকিছুতে ব্যস্ত থাকি। কোনো না কোনো কাজের ফাঁকে চট করে খেয়ে নেওয়া, কিংবা খেতে খেতে টিভি দেখা এগুলোর কোনোটিই স্বাস্থ্যকর নয়। খাওয়ার সময়ে অন্য সব কাজ থেকে বিরতি নিতে হবে। খাওয়ার সময় সবটুকু মনোযোগ খাবারের দিকেই দিন। এতে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হবে। পেট ভরে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিন। লোভে পড়ে অতিরিক্ত খেলে বদহজম হতে পারে।