এখন আমরা প্রায় সকলেই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া সমস্যার সঙ্গে পরিচিত কারণ এটি শরীরের মধ্যে বৃদ্ধি পেলে গিঁটে গিঁটে ব্যাথা বা গেটে বাতের মত একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ধীরে ধীরে হাঁটু-সহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে থাকে এবং তা ফুলে যায়। যার ফলে ব্যথা অনুভূত হয়।
এবার জেনে নেওয়া যাক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে কি কি করা উচিত –
১) তেল-মশলা কম দিয়ে রান্না করতে হবে। বড় মাছ, দুধ, চিনি এগুলি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিলে সামুদ্রিক মাছও এড়িয়ে চলা উচিত।
২) বাটার, ফল, শাকসবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। শষ্যদানা, রুটি, আলুও পরিমাণ মতো খেতে হবে। এছাড়া দুধ ও চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৩) অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ না খাওয়াই ভালো।
৪) শরীরচর্চা নিয়মিত করতে হবে। নিজের শরীরের ওজনকে কখনোই অত্যধিক বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের মত সমস্যা থাকলেও ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
৫) বাজারে কিনতে পাওয়া জুস, কোলড্রিংস, লস্যি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকাই ভালো।
৬) রোজ চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা পরিবর্তন করে কফি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন কফি খেলে শরীর অনেকটা ভালো থাকে। তবে অত্যাধিক পরিমাণে কফি খেলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭) খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি রাখতে হবে। রোজ নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেতে হবে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিটামিন সি দারুন ভাবে কাজ করে।