কিডনি বিকল একদিনেই সম্ভব চিকিৎসকের মতামত

কিডনি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। এটি যদি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারে সেক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা। তাই কিডনির যে কোনো সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। আবার কয়েকটি কারণ আছে, যার মাধ্যমেও হঠাৎ করেই আপনার কিডনি বিকল হয়ে পড়তে পারে।

এর কারণে হতে পারে জল শূন্যতা কিংবা ডায়রিয়া। যারা দৈনিক রোদে কাজ করেন ও জল খাওয়ার সময় পান না, তদের ক্ষেত্রে জল শূন্যতার কারণে হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ব্যথার ওষুধ খাওয়া, প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া, কিডনিতে বেশি পাথর জমা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ ইউরিন ইনফেকশনের কারণে একদিনেই হঠাৎ করেই কিডনি বিকল হতে পারে।

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকের কারণেও আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে। তাই যখন তখন ব্যথানাশক ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়েটিক খাওয়া যাবে না। তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।’

কিডনির রোগের লক্ষণ

১. তলপেটে বা মূত্রনালিতে ব্যথা

২. ঘুমের ব্যাঘাত

৩. প্রস্রাবে পাথর যাওয়া

৪. চোখের পাতা বা পা ফোলা

৫. ত্বকের রং ফ্যাকাশে হওয়া

৬. স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া

৭. হঠাৎ করে শরীরে চুলকানি হওয়া

৮. ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ

৯. গলা ব্যথা

১০. বমি বমি ভাব

১১. ক্ষুধামন্দা

১২. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাব

১৩. মেরুদণ্ডের দু’পাশে ব্যথা

১৪. শরীর কালচে হয়ে যাওয়া

১৫. প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদি।

কিডনির রোগ শনাক্ত করার বিষয়ে ডা. সামাদ বলেন, ‘ইউরিন ও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই কিডনির সমস্যা শনাক্ত করা যায়। প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হলে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভব সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে। আর কিডনির সমস্যা ধরা পড়লেই তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই।’

‘কারণ এক থেকে পঞ্চম ধাপে গিয়ে কিডনি ফেউলিওর হয়, তখন রোগীকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তৃতীয় ধাপে থাকলে ওষুধের মাধ্যমে কিডনির ক্ষতির সম্ভাবনা কমিয়ে আনা হয়। এর ফলে রোগী আরও বেশ কয়েকটি বছর সুস্থ থাকতে পারেন।’

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy