প্রত্যেকের জীবনেই প্রেম আসে। আর সবাই চায় তার এই মধুর সম্পর্কটি জীবনের শেষ পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই তা সম্ভব হয় না। কারণ সবারই নিজস্ব অভ্যাসের গণ্ডি আছে। সেই অভ্যাসে সামান্য হলেও পরিবর্তন আসে জীবনে প্রেম এলে। একা থাকা আর কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে থাকার মধ্যে কিছুটা হলেও ফারাক আছে।
নতুন সম্পর্ক তৈরি হলে দু’পক্ষকেই মানিয়ে নিতে হয় কিছু কিছু জিনিস। খবর রাখতে হয় একে অপরের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়েও। সে কারণে বদল আসে কিছু অভ্যাসের। কিন্তু ছোটখাটো নানা জিনিসের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মানসিকতা না থাকলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়।
তাই কখনো কখনো সম্পর্ক ধরে রাখতে কিছু অভ্যাসে সামান্য বদল আনার প্রয়োজন পড়ে। নতুন সম্পর্কে জড়ালে নিজের কোন অভ্যাসগুলোর রাশ টানা জরুরি সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। কোন কোন দিকে খেয়াল রাখলে প্রথম থেকেই সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে তা জানা থাকা উচিত।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সম্পর্ক ধরে রাখতে নিজের অভ্যাসের পরিবর্তন আনা দরকার-
একা ঘুরতে যাওয়া
অনেকেই একা ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন। জীবনে নতুন মানুষ আসলে যে আপনার একা বেড়াতে যাওয়ার অভ্যেস বন্ধ হয়ে যাবে, তা নয়। তবে একা ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি দু’জন বা পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার অভ্যাসটাও করে ফেলুন। এর ফলে আপনারা একে অপরকে জেনে নিতে পারবেন, পছন্দ-অপছন্দগুলো মনের লিস্টে লিখে নিতে পারবেন।
ব্যক্তিগত সময় ভাগ করে নিন সঙ্গীর সঙ্গে
মাঝে মধ্যে সম্পূর্ণ একা সময় কাটাতে চাওয়াটা দোষের নয়। সম্পর্কে থেকেও সেই সময় বার করে নেয়া যায়। কিন্তু এই একা সময় কাটানোর ইচ্ছেটা যদি অভ্যাসে পরিণত হয়, তবে সম্পর্কে জড়ালে অবশ্যই তা বদলাতে হবে। সারাক্ষণই একা থাকতে চাওয়ার অভ্যাস আপনার ভালোবাসা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। তাই একে অপরকে সময় দিন। পরস্পরের সান্নিধ্যে খুঁজে নিন জীবনের আনন্দ।
সঙ্গীর উপর নির্ভর করতে শিখুন
দীর্ঘদিন একা থাকার কারণে অনেকের মধ্যে একটা স্বাধীন মনোভাব জন্মে। তবে সম্পর্ক সুন্দর রাখতে চাইলে আপনাকে নিজের সঙ্গীর উপর নির্ভর হতেও শিখতে হবে। সম্পর্কে জড়ানো মানেই স্বাধীনতা বিসর্জন দেওয়া নয়। আত্মনির্ভর হয়েও প্রেমিক বা প্রেমিকার উপর কিছু কিছু বিষয়ে নির্ভর করা যায়। সম্পর্কে জড়ানোর সময় এই কথাগুলো মাথায় রাখুন।
ইগো সরান
সম্পর্কে থাকলে ইগোকে কিছুটা বিসর্জন দিতে হয়। এমনিতেই অকারণ ইগো জীবনে ক্ষতিই করে। সঙ্গীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিও বাড়তে পারে এতে। কোন বিষয়ে মতান্তর হলে নিজে এগিয়ে এসে মিটমাট করে নিন। সম্পর্কের শুরুতে আপনি উদারতা দেখাতে পারলে আজীবন সঙ্গীও এই সম্পর্ককে সম্মান করতে শিখবে। কোন কারণে রাগ বা অভিমান হলে অন্তর্মুখী স্বভাবের মানুষ হলেও খারাপ লাগা কিংবা ভালো লাগার বিষয় প্রকাশ করুন। লক্ষ্য রাখুন নানা কাজ ও কথায় ভালবাসা প্রকাশ পাওয়ার বিষয়টি।
এই ব্যাপারগুলো শুধু প্রেমের ক্ষেত্রে নয়, স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনের ক্ষেত্রেও মানুন। তাতে ভালোবাসা অটুট থাকবে এবং দীর্ঘদিন বাঁচিয়েও রাখবে