আমরা ইদানিং বাইরে বের হলেই সঙ্গে জল বহন করি। বাইরের খোলা জল খেলে সংক্রমণ হতে পারে বা শরীরে কোনো অসুবিধা হতে পারে এই ভেবে। কিন্তু আমরা অধিকাংশ সময়েই প্লাস্টিক বোতলেই জল বহন করি। তখন আমরা ভেবেও দেখি না, প্লাস্টিকের বোতলে নিশ্চিন্ত হয়ে যে জল আমরা বহন করছি, তা সত্যিই কতটা নিরাপদ। ভেবে দেখি না, নামকরা কোম্পানির যে বোতলবন্দি জল আমরা বহন করছি, সেটাই-বা কতটা নিরাপদ।
কেন নিরাপদ নয়? অনেক কারণ আছে। প্রথমত, আমরা কি জানি, প্লাস্টিকের বোতলেরও মেয়াদ থাকে? মনে করা হয়, বেশির ভাগ পানীয় জলই ৬ মাস নিরাপদ। কোনো শীতল ও অন্ধকার স্থানে জল রাখলে তা পানযোগ্য থাকে। আসলে জল কখনো এত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না। তবে সেটা নির্ভর করে, জলটা কোন ধরনের পাত্রে সঞ্চিত তার উপর। যদি প্লাস্টিক বোতলে জল রাখা থাকে, তবে তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। মোটামুটি মনে করা হয়, জল দু’বছর ভালো থাকে।
কেন হয়? আসলে প্লাস্টিক বোতলে পলিথিন টেরেফথালেট নামের যে পদার্থ থাকে তা সেই বোতলে রাখা জলে মিশতে শুরু করে। এর ফলে জলের স্বাদেও বদল আসে, জলের গুণও নষ্ট হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ বোতলের জল পানে কী ক্ষতি হয়? এই জল খেলে প্রজননগত সমস্যা হয়, স্নায়ুগত সমস্যা দেখা দেয়, শরীরের রোগপ্রতিরোধ শক্তিও কমে।