প্রতিদিন বাইরে যেতে কিংবা পার্টি সাজুগুজু করতেই হয়। এজন্য মেকআপ ব্রাশি সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে। তবে মেকআপ যেমন ত্বকের নানা সমস্যার কারণ তেমনি মেকআপ ব্রাশও। অপরিস্কার মেকআপ ব্রাশ ত্বকে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
এ কথা হয়তো অনেকেই জানেনই না।ক্রমশ মেকআপ ব্রাশের ওপর জমতে থাকে মেকআপ সামগ্রীর স্তর। শুরুতে ব্রাশের ফাইবারগুলোর যে রং ছিল, সেটাও হারিয়ে যায় ক্রমশ। কিন্তু বিষয়টি যেহেতু আপনার ত্বকের হাইজিনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, তাই মেকআপের ব্রাশ পরিষ্কার রাখাটা অবশ্য কর্তব্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মেকআপ ব্রাশের তন্তুতে জমা ফাউন্ডেশন সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করাই উচিত। না হলে এই ব্রাশের তন্তুতে জন্মাতে পারে ব্যাকটেরিয়া। আর এই ব্যাকটেরিয়া ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। অপরিস্কার এই ব্রাশগুলোই ব্যবহার হচ্ছে চোখের চারপাশেও। ফলে শুধু ত্বক নয়, নোংরা ব্রাশের কারণে ক্ষতি হতে পারে চোখেরও।
তাহলে এতো সব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে মেকআপ ব্রাশ নিয়মিত পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন ব্যবহার করেন এমন ব্রাশ সপ্তাহান্তে পরিষ্কার করে ফেলুন। ভাবছেন ব্রাশ ঘনঘন পরিষ্কার করলে হয়তো ব্রিসল-গুলোর আয়ু কমতে পারে। কিন্তু বিষয়টা পুরোই উল্টো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাশ নিয়মিত পরিষ্কার করলে তার আয়ুও বাড়ে।
চলুন জেনে নিন মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি-
> প্রথমে আপনার মেকআপ ব্রাশ হালকা গরম জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। বাজারে মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার করার সাবান কিনতে পাওয়া যায়। সেই সাবান তালুর মধ্যে অল্প করে নিন। এবার মেকআপ ব্রাশের ব্রিসল-এর ডগাগুলো ওই সাবানে আলতো করে মাখাতে থাকুন। এবার হালকা গরম জলে ব্রাশের তন্তুগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন।
> এছাড়াও শ্যাম্পু ওয়াশও করতে পারেন। ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে এগুলো ধুতে পারেন। তবে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে না।
> আচ্ছা বাড়িতে যদি শ্যাম্পুও না থাকে,তাহলে? সেক্ষেত্রে ডিস ওয়াশার লিকুইড শোপও ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তার সঙ্গে খানিকটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণে ব্রাশ ধোয়ার পর ভালো করে শুকিয়ে নেবেন।
> মনে রাখবেন মেকআপ ব্রাশের তন্তুর মধ্যে যেন কোনোভাবেই জল জমে না থাকে। তাই ভালো করে জল নিংড়ে নিন। এরপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে ব্রাশের মাথা শুকিয়ে নিন। তবে কোনো ভাবেই তোয়ালের মধ্যে রেখে দেবেন না ব্রাশ।
> ব্রাশের তন্তুগুলো যেন এলোমেলো হয়ে না থাকে। শুকিয়ে গেলে আঙুলে করে তন্তুগুলোর আকার ঠিক করে দিন।