সুস্থ জীবনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতিটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য রাতে ভালো ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ৬-৯ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি হলেও, অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে ঘুমের ভূমিকা অপরিসীম। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে ঘুমের জন্য ওষুধের উপর নির্ভর করেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে কিছু প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে যা কোনো ক্ষতি ছাড়াই ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
১. ভাত:
আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত যে ভালো ঘুমের সহায়ক, তা অনেকেরই অজানা। সাদা চালে কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে এবং এটি একটি উচ্চ জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) যুক্ত খাবার। গবেষকরা বলছেন, উচ্চ জিআইযুক্ত খাবার ঘুমানোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে খেলে তা ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
২. বাদাম:
বাদামের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে বাদাম যে ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে, তা অনেকেই জানেন না। গবেষকদের দাবি, বাদাম ঘুমের গভীরতা বাড়াতেও সাহায্য করে। কারণ হিসেবে তারা জানান, বাদামে রয়েছে মেলাটোনিন হরমোনের উৎস, যা ঘুম চক্র নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. কলা:
কলায় রয়েছে ট্রিপটোফান এবং এটি ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস। এই দুটি উপাদানই রাতে ভালো ঘুম হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। ট্রিপটোফান মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ঘুমকে উদ্দীপিত করে।
৪. চর্বিযুক্ত মাছ ও মাছের তেল:
বাঙালিদের খাদ্যতালিকায় মাছ একটি অন্যতম প্রধান খাবার। রাতে ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে চর্বিযুক্ত মাছ ও মাছের তেল অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি। এই ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উভয়ই সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ভালো ঘুমের জন্য অপরিহার্য।