ভারী বৃষ্টি ও তোর্ষা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে ফের বড় বিপদের মুখে পড়েছে জলপাইগুড়ির সুভাষিনি চা বাগান। নদী সংলগ্ন বাঁধের প্রায় পঞ্চাশ মিটার অংশ ভেঙে যাওয়ায় তোর্ষার জল বাগানের ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। যদিও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় জল না ঢোকায় শ্রমিক আবাস এখনও সুরক্ষিত, কিন্তু চা গাছের এবং চাষের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
🌊 অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে বিপদ বাড়ল
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ অক্টোবরও একই জায়গায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। তখন জল প্রবেশ করায় চা গাছের ক্ষতি হয়েছিল। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে কোনোমতে একটি অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই অস্থায়ী বাঁধই শনিবার রাতে ভেঙে পড়ে।
ক্ষতি: বাগানের ভিতরে জল ঢুকে যাওয়ায় বহু জায়গায় চা গাছের ক্ষতি হচ্ছে। চা উৎপাদন এবং বাগানের পরিকাঠামোর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শ্রমিকদের আশঙ্কা: চা বাগানের কর্মীরা জানিয়েছেন, আপাতত শ্রমিক মহল্লায় জল না ঢুকলেও, দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষের প্রধান দাবি, প্রশাসনের উচিত দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করা। তাদের আশঙ্কা, স্থায়ী বাঁধ না হলে প্রতি বর্ষাতেই তোর্ষার ক্ষিপ্র স্রোতের কারণে এই একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
❌ সাঁকো ভেসে যাওয়ায় চরম সমস্যায় ময়নাগুড়ি
অন্যদিকে, তোর্ষা নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের পূর্ব বারঘরিয়া এলাকার একটি বাঁশের সাঁকো।
জনভোগান্তি: ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপটিবাড়ি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব বারঘরিয়া দোমুখার পার এলাকায় এই সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় প্রায় তিন থেকে চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা রানীরহাট বাজার ও স্কুলের জন্য এই সাঁকোর ওপর নির্ভরশীল।
আশ্বাসেই কাটল দিন: স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা দীর্ঘ দিন ধরে একটি পাকা সেতুর দাবিতে বিডিও, ডিএম থেকে শুরু করে ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইন সহ বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি, শুধু আশ্বাস ছাড়া।
সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় পূর্ব বারঘরিয়ার একটি বড় অংশের মানুষ এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।