সমস্যার বেড়াজালে কেউ আটকে থাকতে চান না, কারণ সমস্যা মানেই জীবন কার্যত অতিষ্ঠ। বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়িতে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস রাখা একেবারেই শুভ নয়। এই জিনিসগুলি রাখলে দারিদ্র্য ধেঁয়ে আসে এবং ভাগ্যের চাকা থমকে যায় বলে মনে করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে কোন কোন জিনিস ঘরে রাখা অশুভ এবং দ্রুত সেগুলি সরিয়ে ফেলা উচিত।
যে জিনিসগুলো দ্রুত বাড়ি থেকে সরাবেন:
পুরনো ক্যালেন্ডার: কমবেশি সকলের বাড়িতেই পুরনো ক্যালেন্ডার থাকে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, এক বছরের পুরনো বা তার থেকেও বেশি পুরনো ক্যালেন্ডার বাড়িতে রাখা উচিত নয়। এটি নেতিবাচক শক্তি বাড়ায় এবং জীবনের অগ্রগতির পথ রুদ্ধ করে।
বন্ধ ঘড়ি: কারও বাড়িতে যদি কোনো পুরনো বা বন্ধ ঘড়ি থাকে, তবে সেটি দ্রুত সরিয়ে ফেলা উচিত অথবা সারিয়ে নিতে হবে। বন্ধ ঘড়ি জীবনে স্থবিরতা ও বাধা নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়।
ভাঙা কাচ: বাড়িঘরে কোনো ভাঙা কাচ বা ভাঙা আয়না রাখা একেবারেই ঠিক নয়। এটি অত্যন্ত অশুভ। ভাঙা কাচ বা আয়না যে কারও দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে, তাই ঘর থেকে দ্রুত এগুলি সরিয়ে ফেলা উচিত। কারণ, ভাঙা জিনিসপত্র ঘরে রাখলে নেতিবাচক শক্তি বেড়ে যায়।
কাঁটাযুক্ত গাছপালা: যেকোনো বাড়িতে কাঁটাযুক্ত গাছ লাগানো অশুভ। এই গাছগুলি বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে। এছাড়াও, শুকনো গাছপালাও কোনো বাড়িঘরে রাখা উচিত নয়, কারণ এগুলো বাড়ির ইতিবাচক পরিবেশ নষ্ট করে।
মরচে ধরা জিনিস: যদি আপনার বাড়িতে কোনো পুরনো জিনিসে মরচে ধরে থাকে, বিশেষ করে পুরনো লোহার জিনিসপত্র, তবে সেটি ঘর থেকে বের করে দিতে হবে। এছাড়া, ভাঙা কাপ, ভাঙা গ্লাস, ফাটা প্লেট বা ফাটা হাঁড়ি ঘরে রাখবেন না, কারণ এগুলো পরিবারে কষ্ট ডেকে আনে।
আবর্জনা এবং পুরনো জিনিসপত্র: কোনো ঘরবাড়িতে আবর্জনা বা ময়লা জমিয়ে রাখা উচিত নয়। যে সকল ঘরবাড়িতে নোংরা বেশি থাকে, সেখানে লক্ষ্মী দেবী থাকতে পারেন না বলে বিশ্বাস করা হয়। অনেকে বাড়ির বেসমেন্টে, ছাদে বা অন্য কোথাও পুরনো আবর্জনা জমিয়ে রাখেন; সেগুলো অবিলম্বে ঘর থেকে বের করে দেওয়া প্রয়োজন।
বাস্তুশাস্ত্র মতে, যখন কোনো জিনিসপত্র দীর্ঘদিন ধরে কারও বাড়িতে পড়ে থাকে বা ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে থাকে, তা সেই পরিবারে নেতিবাচকতা বয়ে আনে। ওই জিনিসপত্র আর্থিক সংকট, রোগ এবং মানসিক চাপের কারণও হতে পারে বলে মনে করা হয়। তাই বাড়ির পরিবেশকে ইতিবাচক ও সমৃদ্ধ রাখতে এই বিষয়গুলো মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিঃ দ্রঃ – এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা বাস্তুশাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনো দায় নেই tips24-র।