নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোর নিরঞ্জনকে ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
❌ বিশৃঙ্খলা ও সময়সীমা অতিক্রান্তের অভিযোগ
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ছিল কৃষ্ণনগরে ঘট বিসর্জনের দিন। তবে ক্রমাগত বৃষ্টির কারণে নিরঞ্জনের কাজ শুরু হতে দেরি হয়। ঘট বিসর্জনের পর যখন প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়, তখনই সমস্যার সূত্রপাত।
পুলিশের অভিযোগ: পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই বারোয়ারি ক্লাবগুলির জন্য নিরঞ্জনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও নিরঞ্জন চলছিল, এবং কয়েকটি বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছিলেন।
গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা: যে রাস্তা দিয়ে প্রতিমাগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটি শহরের ব্যস্ততম রাস্তা এবং তার পাশেই রয়েছে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল। ফলে রোগীর পরিবারের যাতায়াতে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল।
মারধরের অভিযোগ: পুলিশের দাবি, বিশৃঙ্খলা চলাকালীন বারোয়ারি ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মারধরও করা হয়।
🚨 লাঠিপেটা ও শুভেন্দুর পোস্ট
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় শেষে চকের পাড়া বারোয়ারির প্রতিমা বিসর্জনের সময় উদ্যোক্তাদের অভব্য আচরণের বিরুদ্ধে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনার ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিডিওতে পুলিশকে লাঠি হাতে তেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে এবং তুমুল চিৎকার ও হই-হট্টগোল শোনা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি বারোয়ারি পুজোকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এই লাঠিপেটাকে ‘পুলিশি জুলুম’ হিসেবেই তুলে ধরেছেন, যা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।