বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণের আর মাত্র দু’দিন বাকি। এই পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। আজ, সোমবার কাটিহারে এনডিএ জোটের হয়ে প্রচার মঞ্চে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তীব্র আক্রমণ শানালেন যাদব পরিবার এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে।
🎃 ‘হ্যালোউইন পালন করেন, ছট পূজাকে বলেন নাটক’
সম্প্রতি লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারের হ্যালোউইন উদযাপনের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদি সরাসরি আরজেডি-কে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন,
“আরজেডি (শাহি পরিবার) সমস্ত আন্তর্জাতিক উৎসব পালন করেন, যখন ছট পূজার কথা আসে, তখন সেটাকে নাটক বলে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাহুল গান্ধীর ছট পূজা সংক্রান্ত মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন আবারও এই বিষয়ে আক্রমণ শানালেন।
😠 ছট মায়ের অপমান, বিহার দেবে প্রত্যুত্তর
মোদি সরাসরি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস এবং আরজেডি-র নেতারা ছট পূজাকে ‘গিমিক’ বা ‘নাটক’ বলে অপমান করেছেন।
“এঁদের মনে হয়, সূর্য দেবের ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা নেই। কংগ্রেস নেতা ছট মাইয়ার অপমান করেছেন, এবং বিহারের মানুষ আরজেডি-কে এর প্রত্যুত্তর দেবে। আপনারা ওদের একবার শাস্তি দিয়েছেন, আবারও দেবেন।”
💬 অনুপ্রবেশ ও ভোটব্যাঙ্ক নিয়েও কড়া তোপ
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেস-আরজেডি জোটের বিরুদ্ধে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করার গুরুতর অভিযোগ তোলেন।
“অনুপ্রবেশের মাধ্যমে রাজ্যের জনসংখ্যা পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। আরজেডি এবং কংগ্রেস কেবল তাদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য দেশের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।”
❓ তেজস্বীকে সরাসরি কটাক্ষ: ‘বাবার নাম নিতে ভয় কেন?’
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ছেলে ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে সরাসরি কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন,
“আরজেডি-কংগ্রেসের পোস্টারগুলো দেখুন – যিনি বছরের পর বছর ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর ছবি এক কোণে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।”
তেজস্বীকে জিজ্ঞাসা করে তিনি বলেন, “প্রচারের সময় তোমার বাবার নাম নিতেও তুমি ভয় পাচ্ছ? কেন? তাঁর শাসনকাল সম্পর্কে এই লুকোচুরি কেন?”
🗳️ ‘জঙ্গলরাজ’ ফেরাবেন না: ভোটারদের প্রতি আবেদন
ভোটারদের প্রতি আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আপনার একটি ভোট বিহারকে ‘জঙ্গলরাজ’ থেকে ‘সু-শাসনরাজে’ নিয়ে এসেছে। এখন, আপনার একটি ভোট বিহারকে আরও উন্নত করবে।”
আগামী দুই দিনে এনডিএ এবং বিরোধী মহাজোটের প্রচার যে আরও তীব্র হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর এই আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।