সোমবার, দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের পর তদন্তে নেমে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিস্ফোরকের উৎস এবং পাচার রুট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। এই ঘটনায় ‘বাংলাদেশ যোগের’ সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিশাল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার:
- বিস্ফোরণের পর উত্তর প্রদেশের ফরিদাবাদ থেকে ২৯০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছে।
- এর আগে প্রায় ৩০০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছিল।
- অনুমান করা হচ্ছে, আরও প্রায় ৩৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকতে পারে।
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি:
গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই বিস্ফোরকগুলো সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। পাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-নেপাল রুট ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। এনআইএ (NIA) তদন্তকারীদের কাছে এখন এই ছড়িয়ে থাকা বিস্ফোরক খুঁজে বের করাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া:
তবে, ভারতীয় গণমাধ্যমের কিছু অংশে এই হামলায় বাংলাদেশের যোগ থাকার খবর প্রচারিত হলে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তা কঠোরভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের ওপর দোষ চাপায় এবং লালকেল্লায় হামলার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি স্পষ্ট করেছেন।
প্রসঙ্গত, এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) নিয়েছে এবং তারা জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগসূত্র খতিয়ে দেখছে।