ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী অভিযান বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় জেলার মন্ত্রীদের নজরদারির নির্দেশ দেওয়ার পর সোমবার নবান্নে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো সীমিত সংখ্যক মন্ত্রীকে নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ১৬ জন মন্ত্রী এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
📱 জেলায় জেলায় সোশ্যাল মিডিয়া ইউনিট
রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে আরও শক্তিশালী করতে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক খবর এবং জনমুখী বার্তাগুলিকে দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এবার জেলায় জেলায় সোশ্যাল মিডিয়া ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইউনিট তৈরির স্থান: প্রত্যেকটি তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের জেলা সদর কার্যালয়ে এই ইউনিট তৈরি হবে।
নতুন পদ: এই ইউনিটগুলির জন্য মোট ১০৮টি শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
👮 কলকাতা পুলিশের সুবেদার পদ রূপান্তর
কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীতে একটি বড় প্রশাসনিক রদবদলের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে।
রূপান্তর: কলকাতা পুলিশের ১৫০টি সুবেদার পদকে সশস্ত্র পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে (Sub-Inspector) রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপটি পুলিশের কর্মকাঠামোকে আধুনিক ও উন্নত করতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
🎬 ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নিয়ে নতুন নিয়ম
ডিজিটাল স্ক্রিনিং এবং ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সংক্রান্ত নিয়মাবলীতেও একটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সিদ্ধান্ত: ইলেকট্রনিক সার্ভারের মাধ্যমে ডিজিটাল স্ক্রিনিং চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইন সংশোধন: ডিজিটাল স্ক্রিনিংয়ের জন্য রাজ্য সরকার দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল সিনেমা’স রেগুলেশন অফ পাবলিক এক্সিবিশন রুলস ১৯৫৬ আইনে সংশোধন এনে অনুমোদন দিয়েছে।
এই সংশোধনের ফলে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্র প্রদর্শনী আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক পদ্ধতিতে করা সম্ভব হবে।
🔍 এসআইআর-এ মন্ত্রীদের নজরদারি
মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলার মন্ত্রীদের এসআইআর প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারি করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনেই অধিকাংশ মন্ত্রী নিজ নিজ এলাকায় নজরদারির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এই কারণেই নবান্নের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীর সংখ্যা সীমিত ছিল বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।