The child is becoming suicidal: সন্তান আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়ছে না তো? এই লক্ষ্মণগুলো দেখলেই সাবধান হোন

একাকীত্বের জেরেই মানুষ বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নন, মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছেন অল্প বয়সীরাও। আত্মহননের পথও বেছে নিচ্ছেন অনেকেই।

মনোবিদরা বলছেন, একজন অভিভাবকের সামান্য কয়েকটি পদক্ষেপেই সন্তানদের এই পথ থেকে বিরত রাখা যেতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কোন লক্ষ্মণগুলি দেখে বুঝবেন আপনার সন্তান আত্মহত্যাপ্রবণ-

* নিজের শখের প্রতি আপনার সন্তান উৎসাহ হারালে সাবধান হোন।
* প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে হঠাৎ সন্তানের দূরত্ব বাড়ছে কিনা খেয়াল করুন।
* বারবার সন্তান মৃত্যুর কথা বললে সাবধান হোন।
* সন্তান নেতিবাচক কথাবার্তা বলছে কিনা খেয়াল রাখুন।
* ক্ষণিকের মধ্যে সন্তানের বারবার মুড বদল হচ্ছে কিনা, নজর দিন।
* নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে সচেতন হোন।
* হঠাৎ করে মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে সাবধান হোন।

ঠিক কী কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা?

যৌন হেনস্তা: বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় কিশোর-কিশোরীরা যৌন হেনস্তার শিকার হয়। তারা ভয়ে বাবা-মায়ের কাছে সেকথা বলতে পারে না। তার ফলে ক্রমশ একা হয়ে যেতে থাকে। নিজের প্রতি ঘৃণা করতে শুরু করে। একসময় আত্মহত্যার পথও বেছে নেয় তারা।

হীনমন্যতা: অনেক সময় কোনো পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল হলে হীনমন্যতায় ভোগে শিক্ষার্থীরা। তার ফলে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় কেউ কেউ।

কটাক্ষ: কেউ একটু মোটা। আবার কেউ বেঁটে। যেকোনো শিক্ষার্থীই নিজের মতো। তা সত্ত্বেও দেহের গঠন নিয়ে অনেক সময় মশকরা নিতে পারে না বহু শিক্ষার্থীরা। তার ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অনেকেই।

প্রিয়জনের মৃত্যু: বহুক্ষেত্রেই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার কারণ হিসাবে প্রিয়জনের মৃত্যু প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, প্রিয়জনের মৃত্যুতে মানসিক অবসাদে ভোগে তারা। তার জীবন শেষ করে দেয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রছাত্রীরা।

সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকরা বন্ধুর মতো মেলামেশা করুন। সন্তানের মনখারাপের ওপর আরও একটু গুরুত্ব দিন। তাহলেই সমস্যা মিটবে। মনখারাপের মেঘ সরে উঠবে হাসির ঝিলিক। আত্মহত্যার পথ ছেড়ে ফের স্বাভাবিক স্রোতে ভাসতে থাকবে শিক্ষার্থীরা।bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy