: যুক্তরাজ্যের ট্রিনিটি কলেজের সমাজবিজ্ঞানীদের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ইন্টারনেট ব্যবহার কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক হতে পারে। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এই খবরটি নতুন করে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।
গবেষণাটি দীর্ঘ সময় ধরে চালানো হয়েছে। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ৮ হাজার ৫৬৮ জন কিশোর-কিশোরীর উপর নজর রাখা হয়েছিল। ৯, ১৩, ১৭ এবং ১৮ বছর বয়সী এই অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেকার মানসিক অবসাদের সঙ্গে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হয়।
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৭-১৮ বছর বয়সী যে সমস্ত কিশোর-কিশোরীদের মানসিক সমস্যার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি, তারা ছুটির দিনে গড়ে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অনলাইনে সময় কাটায়। অন্যদিকে, সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলিতে তারা ১ থেকে ২ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
গবেষকদের দাবি, ইন্টারনেট ব্যবহার সর্বদাই কিশোর-কিশোরীদের জন্য ক্ষতিকর, এমন ধারণা সম্ভবত সঠিক নয়। তাদের মতে, নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত ব্যবহার আসলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিশদ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এই গবেষণাটি ইন্টারনেট এবং তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যেকার জটিল সম্পর্কটিকে আরও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে আরও গবেষণা এই বিষয়ে কী নতুন তথ্য নিয়ে আসে।