চেহারা ক্রমশ ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া এবং কিছুই খেতে ইচ্ছে না করার মতো উপসর্গগুলিকে কেবলমাত্র গরমের ক্লান্তি ভেবে ভুল করলে বিপদ হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই লক্ষণগুলি অ্যানিমিয়ার অর্থাৎ রক্তাল্পতার ইঙ্গিত হতে পারে। রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেক সময়ে চুল ঝরে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। মূলত শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে এই ধরনের সমস্যাগুলি দেখা দেয়।
রক্তাল্পতার কারণে অনেক সময়ে অবসাদও গ্রাস করতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত অনেক ব্যক্তির হৃৎস্পন্দনের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। বিশেষত অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা এই সময়ে রক্তাল্পতার সমস্যায় বেশি ভোগেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সামান্য কিছু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে এই রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। যদি এমন কোনো পানীয় নিয়মিত খাবারের তালিকায় যোগ করা যায়, যা কয়েক দিনের মধ্যেই রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, তবে তা নিঃসন্দেহে খুবই উপকারী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন একটি ‘জাদুকরী’ পানীয় রয়েছে যা মাত্র ১০ দিনেই শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই পানীয়টি কিভাবে তৈরি করতে হয়-
এই পানীয়টি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন একটি বিট, আধ কাপ পালংশাক এবং আধ কাপ জল। প্রথমে এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে বেটে নিন। এরপর একটি পরিষ্কার ও মসৃণ কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে নিয়ে মিশ্রণটি থেকে রস আলাদা করুন। এরপর একটি আপেল ও দু’টি শুকনো খেজুর সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালোভাবে বেটে নিন। এই আপেল ও খেজুরের পেস্ট তৈরি করে আগে থেকে তৈরি করে রাখা বিট এবং পালং শাকের রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। সবশেষে এর মধ্যে অর্ধেক পাতিলেবুর রস যোগ করুন। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, এই পানীয় সপ্তাহে অন্তত তিন দিন নিয়ম করে খেলে মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই, অ্যানিমিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই ঘরোয়া পানীয়টি অবশ্যই চেষ্টা করে দেখতে পারেন।