আপনার সন্তান কি স্ক্রিনে অনেক বেশি সময় কাটায়? কীভাবে এই আসক্তি দূর করবেন তার কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা-
ভারতের ডেভেলপমেন্ট সাইকোলজিস্ট এবং হপসকচ চাইল্ড থেরাপির প্রতিষ্ঠাতা ডা. অঙ্গনা নন্দী হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শিশু সন্তান থাকলে আপনি জেনে থাকবেন যে, শিশুরা নানা কিছু উন্মোচনের দিকে ঝুঁকে থাকে বেশি। তারা প্রযুক্তিগত বিষয় উদ্ঘাটনে জন্য স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের উপর নির্ভরশীল। এই বিষয়টি শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে আসক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
স্মার্টফোন আসক্তি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক সম্পর্ক, লেখাপড়া এবং ঘুমের অভ্যাসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই; কিছু সাধারণ স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে শিশুকে স্মার্টফোন আসক্তি থেকে বের করে আনতে পারবেন।
১. জ্ঞান: এটা বোঝা কঠিন যে শিশুরা তাদের ডিভাইসে কতটা সময় কাটায়। তারা কতটা আসক্তি হয়েছে তা বোঝা যায় তাদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখলে বা ফোন হারালে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় বা মেজাজ খিটখিটে করে।
শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি কাটানোর প্রথম ধাপ হলো লক্ষণটি শনাক্ত করা। চোখ বন্ধ করে থাকলে পরবর্তীতে শিশুকে এই আসক্তি থেকে বের করে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি ক্ষতিকর প্রভাবও বেশি পড়ে।
২. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে শিশুকে বোঝানো: স্ক্রিনের সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সে সম্পর্কে শিশুকে বোজাতে হবে। এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে শিশুকে অবগত করুন। তারা অবশ্যই বুঝবে।
৩. নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া: স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য শিশুকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিন। দৈনন্দিন একটি রুটিনের মধ্যে শিশুকে জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে তুলুন। দিনে কতটুকু সময় স্ক্রিনে কাটাবে সেটিও রুটিনে যোগ করুন।
৪. বাসায় ডিজিটাল ফ্রি জোন: শিশুর বেডরুমে মোবাইল নিষিদ্ধ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার সময় স্মার্টফোন হাতে না রাখবেন না।
৫. শারীরিক কসরতে উৎসাহ: শিশুকে শারীরিক অনুশীলনে পর্যাপ্ত সময় কাটানো নিশ্চিত করুন। শারীরিক ব্যায়াম বা বাইরে খেলাধুলার ব্যবস্থা করুন। এতে শিশু গেজেট থেকে দূরে থাকবে।
৬. কঠিন হলেও সপ্তাহে একদিন গেজেট মুক্ত সময় কাটান। এই দিন শিশুকে বাড়ির টুকিটাকি কাজ করতে দিন। নতুন কিছু কাজ শেখার উৎসাহ দিন।
৭. শিশুকে স্মার্টফোন আসক্তি থেকে বের করে আনার জন্য নিজই রোল মডেল হোন। আপনি নিজেও শিশু সামনে স্মার্টফোনে সময় কাটাবেন না। কারণ শিশুরা আশপাশে দেখে ও শুনে শেখে। bs