বাড়ছে রোদের তীব্রতা। এই সময় বাইরে বের হলেই পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি। ধুলা-বালি, রোদ, ঘাম ইত্যাদি সব মিলিয়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। গরমে তৃষ্ণাও পায় বেশি।তাইতো বাইরে বেরিয়ে গলা ভেজাতে অনেকেই চুমুক দিচ্ছেন ডাবের জল কিংবা রঙিন শরবতে। তবে কোল্ড কফি হোক বা নরম পানীয়, প্রত্যেকটিরই সঙ্গী স্ট্র।
এই স্ট্র ব্যবহারে সরাসরি পানীয়ের পাত্রে মুখ দিতে হয় না। তেমনই লিপস্টিক ঘাঁটারও ভয় নেই। আবার শরবতের স্বাদও এতে ধীরে ধীরে অনুভব করা যায়। কিন্তু এই স্ট্রয়ের ব্যবহার কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? চিকিৎসকরা কিন্তু স্ট্র ব্যবহারকে মোটেই স্বাস্থ্যকর বলছেন না। ঘন ঘন স্ট্রয়ের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার কথাই বলছেন তারা।
>> পুষ্টিবিদরা বলছেন, বেশি স্ট্র ব্যবহার করলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্লাস্টিকের স্ট্রয়ের মধ্যে পেট্রোলিয়াম-জাত উপাদান থাকে। এই উপাদান শরীরে মেদের সঞ্চয় ঘটায়। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
>> স্ট্র দিয়ে কোনো কিছু পান করার সময় শুধু পানীয়ই নয়, পেটে অতিরিক্ত হাওয়া যায়। ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
>> চুমুক দিয়ে খাওয়ার সময়ে দাঁত ও মুখের মধ্যে অবস্থানরত ব্যাক্টেরিয়া পরিষ্কার হয়ে যায়। স্ট্র দিয়ে পান করলে তা হয় না। বরং স্ট্র দিয়ে কোনও মিষ্টি পানীয় গ্রহণ করার ফলে মুখের কোনো অংশে চিনি জমতে থাকে। যার ফলে দাঁতে ক্ষয় দেখা দিতে পারে। এছাড়াও শরীরে অতিরিক্ত শর্করা জমে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
>> স্ট্র ব্যবহার করলে মুখে তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে। স্ট্র দিয়ে পানীয় গ্রহণের সময় মুখের পেশিতে চাপ পড়ে। নিয়মিত স্ট্র ব্যবহার করার অভ্যাস ত্বকেও ছাপ ফেলে।
>> শুধু গরম খাবার নয়, ঠান্ডা খাবারের সংস্পর্শে এলেও স্ট্রয়ের অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা মিশে যেতে পারে রক্তপ্রবাহের সঙ্গে। যা যকৃতেও পৌঁছে যেতে পারে। এ থেকে হতে পারে বিবিধ গুরুতর অসুখ।bs