বাবা-মায়েরা প্রায়ই দেখেন যে তাদের সন্তানেরা একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা ঝগড়া-বিবাদ করছে। এমনকি স্কুলে গিয়েও বন্ধুদের সঙ্গে হাতাহাতি করে বাড়ি ফেরে অনেক শিশুই। অনেক সময় আপনার কোনো কাজ সন্তানের পছন্দ না হলে রাগের মাথায় সে আপনাকেও আঘাত করে দেয়। তবে ভেবে দেখেছেন কি কেন এমনটা করে আপনার শিশু?
এক থেকে তিন বছরের শিশুরা অনেক ক্ষেত্রে বুঝেই উঠতে পারে না যে কোনটা তাদের করা উচিত আর কোনটা করলে তাদের বকুনি খেতে হতে পারে। কর্মব্যস্ততার মাঝে আপনি আপনার সন্তানকে কতটা সময় দিচ্ছেন, তার ওপরেও নির্ভর করে তাদের আচরণ। বাবা-মায়ের থেকে যথাযথ সময় না পেলেও শিশু তার রাগের বহিঃপ্রকাশ দেখায় অন্য কারও ওপর।
এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?
১. শিশুরা এই প্রকার ব্যবহার করলে তাদের বকবেন না। বরং তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভুলটা বোঝানোর চেষ্টা করুন। সন্তান যদি কিছুতেই শুনতে না চায়, রেগে গিয়ে অন্যকে কিংবা নিজেকে আঘাত করে তা হলে জড়িয়ে ধরে তাকে শান্ত করুন।
২. অনেক সময় অভিভাবকেরা নিজেরাই শিশুর সামনে তর্ক-বিতর্ক কিংবা ঝগড়া-বিবাদ শুরু করেন। ভুলেও এই কাজ করবেন না। শিশুরা যা দেখবে তাই শিখবে। এতে শিশুদের মনে কুপ্রভাব পড়তে পারে। তারাও অন্যের সঙ্গে একই আচরণ করবে।
৩. খেলার মাঠে অথবা অন্য কোথাও আপনার সন্তান অন্য শিশুর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ, হাতাহাতি করলে তখনই সেই স্থান থেকে তাকে সরিয়ে নিয়ে আসুন। বাড়িতে ঠান্ডা মাথায় সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। তার মনের কথা জানার চেষ্টা করুন। আপনি যে তার পাশে সব সময় আছেন, সেই কথাটা শিশুকে বারবার মনে করিয়ে দিন। অভিভাবকের পাশাপাশি শিশুর বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. কোনো বন্ধু তাদের কোনো খেলনায় হাত দিলে অনেক শিশুই রেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। শিশুদের মনে ঈর্ষা তৈরি হতে দেবেন না। কোনো ক্ষেত্রে কেমন ব্যবহার করতে হবে সেই শিক্ষা আপনাকেই দিতে হবে। ছোট থেকেই তাদের বোঝানোর চেষ্টা শুরু করুন।
৫. শিশু কোন কোন ক্ষেত্রে এমন আচরণ বেশি করছে তা লক্ষ্য করুন। আপনার শিশু রেগে যেতে পারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই শিশুকে সাবধান করুন। তার মনোযোগ অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন।bs