প্রত্যেকেই নানানভাবে তাদের দিন শুরু করেন। অনেকে কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন এবং সারা দিনের কর্ম পরিকল্পনা করেন। আবার অনেকে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই জীবনকে সহজভাবে নেন। রুটিন মেনে দিন শুরু করলে উদ্বেগ কেটে যাবে; পাশাপাশি সারা দিন শরীর ও মন থাকবে কর্মোদ্যম।
সকালে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় সেগুলো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশাল প্রভাব পড়ে। রুটিন মেনে দিন শুরু করলে প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়, উৎপাদনশীলতা বাড়ে এবং মানসিক চাপ কমে।
সারা দিন মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকতে কিছু অভ্যাস সকালের রুটিনে যোগ করতে পারেন-
বিছানা গোছানো: অনেকে ঘুম থেকে জেগেই মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করেন। এই কাজটি একদমই করবেন না। এর পরিবর্তে কিছু উৎপাদনশীল কাজ করতে পারেন। বিছানো গোছানো। সারা দিনের কাজের রুটিন তৈরি করা। এটি আপনাকে বাকি দিনের জন্য তৈরি করবে।
জল পান: ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক গ্লাস জল পান করুন। এতে সারা দিন নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে। এটি পেট পরিষ্কারের পাশাপাশি হজমক্রিয়ার উন্নতি করবে।
ব্যায়াম: প্রতিদিন সকালে ওয়ার্কআউট করলে দিনের বাকি সময় শরীর থাকবে চাঙা। এটি বিষণ্নতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে এবং মন ভালো রাখে। পাশাপাশি সারা দিন স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে উৎসাহ দেয়।
মেডিটেশন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মেরে সময় না করে কয়েক মিনিট মেডিটেশন করতে পারেন। এমনকি প্রতিদিন সকালে ৫ মিনিটের মেডিটেশন শরীরে চমৎকার প্রভাব ফেলে। এটি মানসিক চাপের মাত্রা এবং উদ্বিগ্নতা কমায়। মন ভালো রাখে।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ: সকালের নাশতা দিনের গুরুত্বপূর্ণ খাবার। প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে মন ও শরীরকে দিনের জন্য প্রস্তুত করে। এ কারণে সকালের নাশতায় স্বাস্থ্যকর খাবার- শস্যজাতীয় খাবার, মাখন, মাংস, মুরগি, মাছ ডিম, টকদই, টাটকা ফল এবং সবজি রাখতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার সারা দিন শরীরকে উৎপাদনশীল এবং সতর্ক রাখতে সহায়তা করে।bs