মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ভয় একসঙ্গে যখন মস্তিষ্কে চেপে বসে তখন যে কেউই অসুস্থতা বোধ করতে পারেন। উদ্বেগ কিংবা মানসিক চাপ প্রায়ই মাথাব্যথা, অনিদ্রা, হজমে সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে জানলে অবাক হবেন, মানসিক চাপ আবার কখনো কখনো পেশিতে টান ধরার ঘটনাও বাড়াতে পারে।
সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান এশিয়া কাপ ম্যাচে পাক পেসার নাসিম শাহের হঠাৎই পেশিতে টান ধরে ১৮ ওভারের সময়, এরপর তাকে দ্রুত ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারত-হংকং ম্যাচের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে, রবীন্দ্র জাদেজা একই কথা বলেছিলেন যে চাপের পরিস্থিতি কীভাবে শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এমনকি নার্ভাসনেস কীভাবে মাসল ক্র্যাম্পের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপের কারণে পেশির ক্র্যাম্পে ভোগার সমস্যা কখনো কখনো গুরুতর হতে পারে। যদিও ক্র্যাম্প গুরুতর রূপ ধারণ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কিছু লোক উদ্বেগের কারণে খিঁচুনি অনুভব করতে পারে। বিরল ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও, স্ট্রেসের কারণে ক্র্যাম্প হওয়া সম্ভব ও প্রায়শই এটি ঘটলে অবশ্যই একজন ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করা উচিত।
পেশির ক্র্যাম্পের অন্যান্য সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো-
ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা
পেশি ক্র্যাম্পিংয়ের একটি সাধারণ কারণ হলো ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা। এক্ষেত্রে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, দ্রুততা বা অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রচুর জল পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
পেশির টান
উদ্বেগ পেশিতে টান সৃষ্টি করতে পারে। যখন পেশি টানটান থাকে, তখন শক্তি পুননির্মাণের জন্য পেশিতে টান ধরতে পারে। মানসিক চাপের প্রভাবে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার প্রভাব পড়ে পেশিতে।
পেশির সংকোচন
মানসিক চাপ ও উদ্বেগের কারণে স্নায়ুতন্ত্র রক্তনালিতে অতিরিক্ত লোড দেয়, ফলে পেশি আরও সংকুচিত হয়ে যায়। এতে টান ধরার ব্যথা আরও বাড়তে পারে।