অনেক সময় ভাত মেপে রান্না করলেও কিছুটা বেঁচে যায়। সেই বেঁচে যাওয়া ভাত হয়তো অনেকেই ফেলে দেন, নয়তো সকালে ঠান্ডা বা গরম করে খান। আবার কেউ ভাতে জল দিয়ে পান্তা ভাত বানিয়ে খান। তবে অনেকেই বেঁচে যাওয়া ভাত ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন।
কিন্তু জানেন কি, বাসি ভাত খাওয়ার আগে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত? ভুল পদ্ধতিতে গরম করলে পেটে সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে। তাই পুরনো ভাত খাওয়ার আগে কীভাবে সঠিক উপায়ে গরম করা উচিত, তা জেনে নেওয়া যাক:
১. মাইক্রোওয়েভে গরম করার সঠিক নিয়ম:
মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করতে হলে প্রথমে একটি ওভেনের উপযোগী পাত্রে ভাত নিন।
ফ্রিজে রাখা ভাত যদি জমাট বেঁধে যায়, তাহলে চামচ দিয়ে হালকাভাবে ভেঙে নিন।
প্রতি ১ কাপ ভাতের জন্য ১ টেবিল চামচ করে জল মেশান। জল মেশানোর ফলে ভাত ঝরঝরে থাকবে।
এরপর পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে মাইক্রোওভেনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় ২ মিনিটের জন্য গরম করুন।
২. গ্যাসে গরম করার সঠিক নিয়ম:
গ্যাসে ভাত গরম করার জন্য একটি পাত্রে বাসি ভাত নিন।
প্রতি কাপ ভাতের জন্য ১ টেবিল চামচ করে জল যোগ করুন। যদি জল ব্যবহার করতে না চান, তাহলে সামান্য মাখন ব্যবহার করতে পারেন। মাখন ভাতের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করবে।
এবার পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে প্রায় পাঁচ মিনিট গরম করুন। খেয়াল রাখবেন যাতে ভাত পুড়ে না যায়।
৩. বাসি ভাতের সুস্বাদু ফ্রায়েড রাইস:
শুধু গরম না করে বাসি ভাত দিয়ে তৈরি করা যায় মুখরোচক ফ্রায়েড রাইসও। এর জন্য আপনার প্রয়োজন ডিম, পেঁয়াজ, মরিচ, গাজর এবং বিনস।
একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে ডিম ফাটিয়ে ঝুরঝুরি করে ভেজে নিন। ডিম ভাজা হয়ে গেলে তুলে রাখুন।
এরপর ওই তেলে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে হালকা ভাজুন। তারপর গাজর ও বিনস যোগ করে ভালোভাবে ভাজুন।
সবজি ভাজা হয়ে গেলে বাসি ভাত দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করুন।
সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে গেলে ভাজা ডিম যোগ করুন এবং কিছুক্ষণ ভেজে নিন।
সবশেষে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন। এটি খেতে অনেকটা সাধারণ ফ্রায়েড রাইসের মতোই লাগবে।
বাসি ভাত খাওয়ার আগে এই নিয়মগুলি মেনে চললে তা যেমন সুস্বাদু হবে, তেমনই পেটের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং উপভোগ করুন আপনার খাবার।