দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করেন? তাহলে চোখের যত্নে ৫টি বিশেষ টোটকা

মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে দীর্ঘ সময় ব্যয় করলে চোখের উপর চাপ পড়ে। ফলে দেখা দিতে পারে মাথা যন্ত্রণা, অস্বচ্ছ দৃষ্টি, ঘাড়ের ব্যাথা, চোখের শুষ্কতা ও মনোযোগের সমস্যার মতো সমস্যা। দেখা দিতে পারে স্নায়ুরোগ ও অনিদ্রার সমস্যাও। তাই নিয়মিত চোখের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

নির্দিষ্ট দূরত্ব রক্ষা: বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈদ্যুতিন পর্দা থেকে চোখের ব্যবধান হতে হবে অন্তত ২৫ ইঞ্চি। এর থেকে কম দূরত্বে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। বিশেষত দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে অনেকটাই বাড়ে সমস্যা। পাশাপাশি, চোখের থেকে বৈদ্যুতিন পর্দা রাখতে হবে একটু নিচে।

২০-২০ নিয়ম: শরীর সুস্থ রাখতে যেমন নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন তেমনই চোখ ভালো রাখতেও করতে হবে চোখের ব্যায়াম। এই ক্ষেত্রে মেনে চলতে পারেন ২০-২০ নিয়ম। এই নিয়ম অনুসারে কুড়ি মিনিট একটানা পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার পর অন্তত কুড়ি সেকেন্ড কুড়ি ফুট দূরত্বের কোনও বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। পাশাপাশি, বারবার চোখের পলক ফেলাও জরুরি।

ঠিক পর্দা: অতিরিক্ত ছোট পর্দা ও অস্বাভাবিক আলো চোখের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি, পর্দার হরফও বড় মাপের হওয়াই বাঞ্ছনীয়। যথোপযুক্ত আলো রয়েছে এমন স্থানে রাখতে হবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ।

পর্যাপ্ত জল: দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটারের পর্দায় একটানা তাকিয়ে থাকলে দেখা দিতে পারে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পর্দা যেহেতু দ্রুত পরিবর্তিত হয়, তাই বারবার কেন্দ্রিভূত করতে হয় দৃষ্টি। এতে চোখের পেশী ও স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। একভাবে পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে কমে চোখের পলক পড়ার সংখ্যা। ফলে দ্রুত শুকিয়ে যায় চোখ। তাই নিয়মিত চোখে জল দেওয়া ও নিয়মিত জল পান করা জরুরি।

চোখ পরীক্ষা: যারা নিয়মিত কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করেন, তাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। পাশাপাশি, এখন বিশেষ ধরনের চশমা পাওয়া যায় যা বৈদ্যুতিন পর্দা থেকে নির্গত ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। প্রয়োজনে পড়তে হবে নীল ও অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধক চশমা।bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy