কথোপকথনে যেসব অঙ্গভঙ্গি পরিহার করা উচিত আপনার, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জেনেনিন

কেবল কথায় নয় অনেক সময় অঙ্গভঙ্গি এবং শারীরিক ভাষাও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করতে পারে। তাই অন্যের মাঝে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে এমন অঙ্গভঙ্গি পরিহার করতে হবে।

কিছু সাধারণ অঙ্গভঙ্গি যেগুলো আপনিও বুঝতে পারেননি নেতিবাচক ছাপ রেখে যাচ্ছে। এই অঙ্গভঙ্গিগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

কথা বলার সময় মুখে হাত: কারও সঙ্গে কথা বলার সময় মুখে হাত দেওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ বিষয়টি অন্যের মধ্যে খারাপ ধারণা তৈরি হয়। এই অঙ্গভঙ্গি আপনার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি প্রকাশ করে তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কথোপকথনে আপনার মনোযোগহীনতাও প্রকাশ করে এই অঙ্গভঙ্গি।

হাত বা অঙ্গুল কচলানো:  অনেকে কথা বলার সময় দুই হাতের আঙুল জড়ো করে বা কচলান। এটিও খারাপ ভঙ্গি। এর মাধ্যমে আপনি ভীত, ইতস্তত এবং আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির বহিঃপ্রকাশ বলে ধরে নেওয়া হয়। কোনো বিষয় উপস্থাপনের সময় দুই হাতের আঙুল কচলালে আপনার প্রস্তুতির ঘাটতি আছে বলে শ্রোতাদের ধারণা তৈরি হবে।

পেছনে দুই হাত গুটিয়ে রাখা: আপনি মানুষকে বিশ্বাস করেন না-এটাই প্রকাশ করে এই ভঙ্গি। মনোবিদদের মতে, এই ভঙ্গির অর্থ হচ্ছে আপনি যার সঙ্গে কথা বলছেন তার বিষয়ে নিশ্চিত নন। এছাড়াও এই অঙ্গভঙ্গিতে প্রকাশ পায় আপনি হতাশ বা রাগান্বিত বা আশপাশের মানুষের বিষয়ে ভীত।

পা ক্রস করে বসা: এটি খুবই নেতিবাচক ভঙ্গি। এটি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করলেও আপনার কথা কার্যকর নয় এই ধারণা তৈরি করে। এই ভঙ্গিতে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী বা উদ্বিগ্ন দেখায়।

প্রতিক্রিয়ার অভাব: আপনি যখন কোনো কথোপকথনে অংশ নেন আপনাকে অবশ্যই অপর পক্ষের চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে হবে এবং দেখাতে হবে আপনি ‍শুনছেন। কিন্তু আপনি যদি প্রতিক্রিয়া না করেন, চোখের দিকে না তাকান বা না হাসেন তবে এটাই প্রকাশ করে যে আপনি কথোপকথনে আগ্রহী নন। কথোপকথনে ইঙ্গিত দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy