চুল পড়ে গেলে ভীষন বিড়ম্বনার ব্যাপার। নানা ধরনের ওষুধ, শ্যাম্পু বা ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করেও অনেক সময় সমস্যার সমাধান হয় না। বর্ষাকালে সমস্যা আরো বাড়তে থাকে। কারণ বর্ষার আর্দ্রতায় চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়।
কলের জলে কী চুল পড়ে?
চুল পড়ার নানা কারণ থাকতে পারে। এটা বংশগতও হতে পারে। তবে আরেকটি বিষয় জানেন কী? আপনার বাড়ির কলের জলেও সমস্যা থাকতে পারে। কলের জল ‘হার্ড’বা খনিজ সমৃদ্ধ হলে চুল পড়বেই। কারণ ‘হার্ড ওয়াটার’-এ ধনাত্মক চার্জযুক্ত ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আমাদের চুল আবার ঋণাত্বক চার্জযুক্ত। স্বাভাবিকভাবেই ধনাত্মক আয়নের আকর্ষণে ঋণাত্বক চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। হাত দিলেই বোঝা যায় চুলের কোমলতা চলে গেছে। চুলে জটও পড়বে বেশি। এর ফলে চুল আচড়াতে গেলেই চুল ছিড়ে যায়।
এই পরিস্থিতি আপনার উপায় দুটি
১. ‘ওয়াটার সফটনা’ নামের একটি যন্ত্র আছে। এই যন্ত্র আপনার ব্যবহার করা জল থেকে মিনারেল বাদ দিতে সক্ষম। তবে দাম বেশি।
২. শাওয়ার ফিল্টারও লাগাতে পারেন। শাওয়ারের মুখে লাগিয়ে দিলে সব মিনারেল ধরে রাখবে। তবে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয় এটা।
জলে থাকা ক্লোরিন চুলের খুব ক্ষতি করে। ক্লোরিন এমনিতে জল জীবানুমুক্ত করে। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লোরিন চুলের গোড়া নরম করে দেয়। অনেকে সুইমিংপুলে সাঁতার কাটেন তাদের অবশ্যই শাওয়ার ক্যাপ পরে নেওয়া উচিত। সুইমিংপুল থেকে উঠে চুল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। জলে অতিরিক্ত লবণ থাকলেও চুলের জন্য সেটা ভালো নয়। সমুদ্র দেখতে গিয়ে অনেকে স্নান করেন তখন কথাটি মনে রাখবেন।
কোন ভাবেই সমস্যার সমাধান করতে না পারলে কেনা জল দিয়ে চুল ধুতে পারেন। সেই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার যেমন আমলকী, বিট, ডিম, ফ্ল্যাক্সসিড ইত্যাদি খেতে পারেন।bs