আপনার কি রাত জেগে কাজ করতে হয়? তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে মেনে চলবেন যেসব নিয়ম, দেখেনিন

রাতে বেশিক্ষণ জেগে থাকলে ডায়াবেটিস ও হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, রাতে দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তাদের শরীরে মেদ পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা কমে যায়। আর তাতেই ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

মূলত, যারা রাতে অনেকক্ষণ জেগে থাকেন তাদের শরীরে মূল শক্তি উৎপাদন হয় কার্বহাইড্রেট থেকে। শারীরবৃত্তীয় চক্রে অনিয়মের জন্যই এমনটা হয়। রাতে দেরি করে ঘুমালে সকালে কাজের জন্য আবার তাড়াতাড়ি উঠে পড়তে হয় অনেককেই। আট থেকে নয় ঘণ্টার ঘুম সম্পন্ন হয় না। যারা অফিসে রাতের শিফটে কাজ করেন তাদের মধ্যে ওবিসিটি, ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

তবে যাদের ক্ষেত্রে রাত জেগে কাজ করার বিকল্প নেই, সুস্থ থাকতে বেশ কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন তারা। এরমধ্যে প্রথমেই আসে বেশি করে জল পান করার বিষয়টি। চা কিংবা কফির বদলে ঘন ঘন জল পান করতে হবে। এতে আপনার ক্লান্তি দূর হবে, কাজে মনোযোগও বাড়বে।

কাজের চাপে আমরা ক্ষুধা পেলেই অনেক সময় ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারের দিকে ঝুঁকি। তবে সুস্থ থাকতে এ অভ্যাস বদলাতে হবে। তাই কাছে সবসময় বাদাম বা ফল জাতীয় খাবার রাখা দরকার। রাত জাগার কারণে সৃষ্ট সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে যদি আপনি রাত জাগা সত্ত্বেও অন্তত সাত-আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন। তাই দিনের কোনো একটি সময়ে ঘুমের ঘাটতি পূরণ করে নিতে হবে।

তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেয়াও প্রয়োজন। রাত জাগার ফলে স্বাভাবিক কারণেই রাতের খাবারের পরেও ক্ষুধা পেয়ে যায়। তাই মাঝরাতে ক্ষুধা পেলে হালকা স্ন্যাকস খেতে পারেন। কিন্তু রাত ৮টার পর ভারী খাবার বিপাকতন্ত্রের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি ব্যায়াম চালু রাখতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে রাত জাগার ক্ষতিকর প্রভাব অনেকাংশই কাটানো সক্ষম।bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy