পর্যাপ্ত জল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও জোরদার করে তোলে, যা নানা ভাইরাস ঠেকানোর কাজে সাহায্য করে। কিন্তু জল কি শুধু প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই সচল রাখে?
• পর্যাপ্ত জল পান করলে, ঝিমুনিভাবের বদলে শরীরে ফিরে আসে তরতাজাভাব। এ সময় তো অনেকেই সকাল-বিকেল ব্যায়াম করছেন, ব্যায়ামের আগে ও পরে জল পানে ভরপুর এনার্জি পাওয়া যাবে। শরীরে মাত্র ১/৩ শতাংশ জল কমে গেলে মুড সুইংয়ের সমস্যা হয়, ক্লান্ত লাগে, প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতাতেও, এমনই বলছে গবেষণা।
• সারাদিন জল বদলে কোলা, কফি খেয়ে কাটিয়ে দিলে সন্ধ্যা হলেই মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়, তার মূলে রয়েছে জল কম পান করা। পর পর কয়েক গ্লাস জল পান করলেই মিটে যায় সমস্যা।
• কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হঠাৎ মিটে গেলে বুঝবেন এর মূলেও আছে জল পানের অভ্যাস। নিয়মিত কম জল পানে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। দিনে কয়েক গ্লাস জল বেশি পান করলে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• পরিবারে কারও কিডনি স্টোন আছে? আপনার মধ্যেও থাকতে পারে প্রবণতা। বেশি করে জল পান করলে হয়তো সে আশঙ্কা কমে যাবে।
• মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে প্রচুর পরিমাণে জল পান খানিকটা নিস্তার মিলতে পারে বলে, জানাচ্ছে গবেষণা।
• ওজন নিয়ে চিন্তিত? কমে যাবে। কীভাবে? আমরা অনেকেই জানি না, শরীরে জল কমে গেলেও অনেক সময় খিদে পায়। তখন খাবার না খেয়ে এক গ্লাস জলপানে একটু অপেক্ষা করলে চলে যায় খিদের বোধ। খাবার খাওয়ার আগে জল পানে কম খাবারে পেট ভরে। গবেষণা বলছে, নিয়মিত যাঁরা খাবার খাওয়ার আগে আধ লিটার জল পান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত ৪৪ শতাংশ ওজন কমে। ঠান্ডা জল পান করলে আরও ভাল। বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্র বলছে, ঠান্ডা জলকে শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসতেও ক্যালোরি খরচ হয় শরীরের।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলপানের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে বলে যেন সারাক্ষণ জলপান করবেন না। সাধারণ অবস্থায় ২.৫-৩ লিটার জলপানই যথেষ্ট। খুব বেশি ব্যায়াম ও ঘরের কাজে ঘেমে নেয়ে গেলে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৩.৫-৪ লিটার খেতে পারেন বড়জোর। তার বেশি নয়। কারণ অতিরিক্ত জলপানের আবার কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। এছাড়া কোনও রোগের কারণে যদি জলকম পানের নির্দেশ থাকে, যেমন কিডনির অসুখ, হার্ট ফেলিওর ইত্যাদি, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া জল পান বাড়াবেন না