তলপেটের মেদ ঝরানোর সহজ কিছু উপায়! জেনেনিন

পরিবর্তিত জীবনযাত্রা, আধুনিক খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির প্রকোপে ওবেসিটি বা ওজন বৃদ্ধি হানা দেয় যখন-তখন। ওজনবৃদ্ধিতে প্রধান সমস্যা হল তলপেটের মেদ। মেদজনিত সমস্যায় শরীরের সব অংশের তুলনায় দ্রুত আক্রান্ত হয় তলপেট আর সবচেয়ে দেরিতে ঝরে এই অংশের মেদ। তাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না।

ফ্রিজের জল, দীর্ঘক্ষণ এসি-তে থাকা, একই জায়গায় অনেকক্ষণ বসে থাকা অথবা অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা এই অংশের মেদ বাড়ানোর প্রধান ভূমিকা পালন করে। ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন জিমে যাওয়ার উপায় থাকে না। তাই মেদ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ থাকলেও তা কমানোর উপায় অবলম্বন করা যায় না।

তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও অত্যন্ত সহজ কিছু ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যাস করলে তলপেটের মেদ কমে অনেকটাই। জেনে নিন তলপেটের মেদ দূর করার সেই সব সহজ ব্যায়াম, যা অভ্যাস করতে সময়ও লাগে কম, আলাদা করে কোনও উপকরণের প্রয়োজনও পড়ে না।

১. তলপেটের মেদ ঝরাতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে থাকুন। দুই পা এক সঙ্গে উপরের দিকে তুলুন। কিছুক্ষণ রাখুন এভাবে। হাঁটু যেন ভাঁজ না হয় একটুও। এরপর পা নামান। এভাবে বার দশেক করুন। প্রতি দিনে এর সংখ্যা বাড়ান। প্রতি সেট ১০ বার। চেষ্টা করুন ধীরে ধীরে তিন সেট করে অভ্যাস করতে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখবেন।

২. চিত হয়ে শোওয়ার পর এবার এক এক করে দুই পা তুলুন। প্রতি পা তুলে কিছুক্ষণ রাখুন। সেই পা নামিয়ে আবার অপর পা তুলুন। এটিও বার দশেক করুন। প্রতি সেট ১০ বার। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখবেন।

৩. চিত হয়ে শুয়ে সাইক্লিং করার মতো করে পা ঘোরান। এতে তলপেটের সঙ্গে ভারী কোমরের সমস্যাও মিটবে। এ ক্ষেত্রেও ১০ বারে একটি সেট। দুই থেকে তিনটি সেট করার চেষ্টা করুন।

৪. চিত হয়ে শুয়ে পা দু’টিকে এক সঙ্গে তেরচা করে (মোটামুটি ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে) রাখুন। কিছুক্ষণ এভাবে রাখুন। তারপর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন পা।

৫. যে কোনও ব্যায়াম প্রথম প্রথম অভ্যাস করতে গেলে পেশীতে টান পড়ে, ব্যথাও হয়। খুব ব্যথা হলে সেই অবস্থায় ব্যায়াম করবেন না। তবে অল্প ব্যথা হলে তাতে ব্যায়ামের নিয়মে কিছু হেরফের হয় না। সে ক্ষেত্রে সংখ্যায় কম করুন প্রথমে। ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়ান।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy