ডিম্বাশয়ে ক্যানসার জটিল ও ভয়াবহ রোগ। যেকোন বয়সের নারীদের এটা হতে পারে। তবে ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এমন সময়ে শনাক্ত হয় যখন চিকিৎসা করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে রোগীর বেঁচে থাকা সম্ভাবনা বাড়ে। ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ আছে যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ভারতীয় ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা.জ্যোতি মেহতা এমনই কিছু লক্ষণের কথা শেয়ার করেছেন। এসব লক্ষণ দেখা দিলে নারীদের সতর্ক হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। যেমন-
ক্রমাগত পেট ফোলাভাব বা ফুলে যাওয়া: পেটে যদি ক্রমাগত ফোলাভাব অনুভব করেন বা পেট ভরা ভরা ভাব নিয়ে অস্বস্তি অনুভব হয় তাহলে সাবধান হতে হবে।
খেতে সমস্যা বা দ্রুত তৃপ্তি অনুভব করা: ক্ষুধা কমে যাওয়া বা তাড়াতাড়ি পেট ভরে গেলে সতর্ক হতে হবে।
পেটে ব্যথা: পিরিয়ড বা হজম সংক্রান্ত সমস্যা ছাড়াও পেটে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন: ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি।
ঘন ঘন প্রস্রাব: মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ডায়াবেটিস ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে যদি ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি: হঠাৎ করে অতিরিক্ত ওজন কমে বা বেড়ে যাওয়া ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারসহ অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
ক্লান্তি: ক্রমাগত ক্লান্তি বা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়া ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত করে।
পিঠে ব্যথা: ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার পিঠের নিচের অংশে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে, যার কারণে প্রায়ই পিঠে বা কোমরের নিচের দিকে ব্যথা অনুভূত হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে দ্রুত প্রতিরোধ করা সম্ভব। নারীরা এ ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন-
১. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
২. পরিবারে কারও ডিম্বাশয় বা স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।