বলিউড তারকা ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের বিয়ে বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ২০০৭ সালের সেই বহুচর্চিত বিয়েকে ঘিরে একাধিক খবর ও জল্পনা ছড়িয়েছিল, যা আজও বলিউডের অলিন্দে ঘুরে বেড়ায়। ১৮ বছর ধরে সুখে সংসার করছেন এই জুটি, তাদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বর্যর সিঁথিতে সিঁদুর দেখে তাদের বিচ্ছেদের সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলেছেন এই তারকা দম্পতি।
বিয়ের জল্পনা ও গোপন সম্পর্কের সূত্রপাত
বলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাইয়ের প্রেম শুরু হয়েছিল গোপনে। তবে তাদের সম্পর্কের খবর সামনে আসতেই জল্পনার পারদ চড়ে। কয়েক বছর প্রেম করার পর ২০০৭ সালে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নেন। বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের এই বিয়ে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তারকার মহলে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
পরিবারের সমস্যা ও বিয়ের কার্ড ফেরানো
‘কফি উইথ করণ’ টক শো-তে এসে অভিষেক বচ্চন নিজেই তাদের বিয়ে নিয়ে বেশ কিছু অজানা তথ্য ফাঁস করেছিলেন। অভিষেকের কথায়, একই সঙ্গে সকলকে খুশি করা সব সময় সম্ভব নয়। তাই অনেকেই হয়তো তাদের বিয়েতে পুরোপুরি খুশি ছিলেন না, তবে এই জুটির মনে তা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ, সেই সময় ঐশ্বর্যর পরিবারে একটি গুরুতর সমস্যা চলছিল। শোনা যায়, সেই কারণে ঐশ্বর্যর পরিবারের পক্ষ থেকে বড় করে বিয়ের আয়োজন করার কোনো ইচ্ছা ছিল না।
তা সত্ত্বেও, বিয়ের কার্ড এবং মিষ্টি পাঠিয়ে সকলের আশীর্বাদ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে মেজাজ হারিয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার শত্রুঘ্ন সিনহা। এমনকি পরিচালক রাম গোপাল বর্মাও মুখ ফিরিয়েছিলেন, এবং বিয়েতে উপস্থিত থাকলেও তার চোখে মুখে বিরক্তিভাব স্পষ্ট ছিল। পরবর্তীতে করণ জোহরও এ নিয়ে মন্তব্য করতে ছাড়েননি।
শত্রুঘ্ন সিনহার যুক্তি: ‘ব্যক্তিগত আমন্ত্রণ ছিল না’
এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহা জানিয়েছিলেন, অভিষেক-ঐশ্বর্যের বিয়ের বিষয়ে তার কাছে কোনো ফোন বা ব্যক্তিগত বার্তা যায়নি। কেবল একদিন কার্ড আর মিষ্টি এসে পৌঁছেছিল। যদি তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রিত না হন, তাহলে কেন তা গ্রহণ করবেন, এই যুক্তি দেখিয়েই তিনি কার্ড ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও একটা সময় অমিতাভ বচ্চন ও শত্রুঘ্ন সিনহা খুব ভালো বন্ধু ছিলেন।
যদিও এসব জল্পনা ও বিতর্কের মাঝেও ঐশ্বর্য ও অভিষেকের বিয়ে ধুমধাম করেই সম্পন্ন হয়েছিল। তাদের ১৮ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন এবং এক কন্যা সন্তান আরাধ্যা, সব বিতর্ককে ছাপিয়ে ভালোবাসার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ঐশ্বর্যর সিঁথিতে সিঁদুর তার দাম্পত্য জীবনের অটুট বন্ধনকে আবারও দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করেছে।