আপন বোনের বিয়ের টাকার ভাগ নিয়ে বিরোধের জের! সেই ‘ঝামেলা মেটাতে’ ১৯ বছর বয়সী বোনকে খুন করে তার পচাগলা দেহ ৭০ কিলোমিটার দূরে আখখেতে ফেলে আসার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে আপন দাদার বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের এই নৃশংস ঘটনায় উত্তাল গোটা এলাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাম আশিস নিষাদ (৩২)। বুধবার রাতে কুশীনগর জেলার এক আখখেত থেকে ১৯ বছরের নীলম নিষাদের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে ঘটনার নৃশংস বিবরণ।
৫ লক্ষ টাকার লোভে খুন
গোরক্ষপুর পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বাবা চিঙ্কু নিষাদ একটি রাস্তা প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকা তিনি মেয়ের বিয়ের খরচের জন্য রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু সেই টাকা থেকে নিজের ভাগ দাবি করে অভিযুক্ত রাম। তাতে বাবা রাজি না হওয়ায় রাগে ও ক্ষোভে সে বোনকে খুন করার পরিকল্পনা করে।
কাপড় দিয়ে গলা টিপে, দেহ ফেলে আসা ৭০ কিমি দূরে
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর যখন বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না, তখনই রাম তার খুনের পরিকল্পনা কার্যকর করে।
নৃশংসতা: প্রথমে কাপড় দিয়ে নীলমের গলা টিপে খুন করা হয়।
দেহ লোপাট: এরপর হাত-পা ভেঙে তার দেহ বস্তায় ভরে মোটরবাইকে বেঁধে কুশীনগর জেলার এক আখখেতে ফেলে আসে অভিযুক্ত।
পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ভেবেছিলেন নীলম ছটপূজার জন্য বাইরে গিয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশীরা জানান, রামকে বড় একটি বস্তা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছিল। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়, রামই বোনের দেহ ভরে মোটরবাইকে চেপে যাচ্ছে।
শহরের এসপি (সিটি) অভিনব ত্যাগী জানিয়েছেন, “অভিযুক্ত সম্পূর্ণ অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। খুনের পর বোনের দেহ কুশীনগরে ফেলে আসে সে।”
মৃত্যুদণ্ড দাবি পরিবারের
এই ঘটনার পর মৃতার বাবা-মা অভিযুক্ত পুত্র রাম আশিস নিষাদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন। তাঁদের সন্দেহ, রামের স্ত্রীও এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।